বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমানে অসহনীয় দ্রব্যমূল্যের চাপে মানুষের মাঝে ঈদের কোনো আনন্দ নেই। তিনি বলেন, সরকার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।তারা বারবার সিন্ডিকেটের কথা বলেন। মন্ত্রী (বাণিজ্য মন্ত্রী) নিজেই সিন্ডিকেটের কথা বলেন। কিন্তু সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কারণে আজকে এই পবিত্র ঈদে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে গেছে। আদা, মরিচসহ অন্যান্য জিনিসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এক্ষেত্রে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষ নয়, মধ্যবিত্ত মানুষ- প্রত্যেকেই আজকে একটা অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছে। এ জন্য এবারের ঈদ সামগ্রিকভাবে কোনো আনন্দের বার্তা নিয়ে আসেনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকালে ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে শহরের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিগত কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতি যেভাবে বেড়েছে, জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে তা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। বিশেষ করে সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে এবং পরিকল্পনার অভাবে, একইভাবে তাদের দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঈদুল আজহার যে ত্যাগ, সে ত্যাগের উদ্দেশ্য একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করা। পাড়া-প্রতিবেশী ও সাধারণ মানুষের হক আদায় করা। সমাজকে একটি বৈষম্যহীন সমাজে পরিণত করার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। ঈদুল আজহা আমাদের কাছে বড় একটি ইবাদত ও উৎসব। কিন্তু আমাদের সাধারণ মানুষেরা অনেকেই উৎসব করতে পারছে না। আমরা তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি। এই দ্রব্যমূল্যের বিরুদ্ধে আমরা গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছি। যে আন্দোলনে আমাদের ১৭ জন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন।’
‘মোট কথা হচ্ছে, এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে। অর্থনীতি একটা বিপর্যয়ের দিকে চলে গেছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে স্বচ্ছতার অভাব। গতকালও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর থেকে বলেছে যেসব দেশের অর্থনীতিতে কোনো স্বচ্ছতা নেই তাদের মধ্যে বাংলাদেশও একটি। অর্থাৎ আমরা যেটা বলতাম, সেটা অর্থনীতিবিদরাও বলছেন। এখন বাইরের দেশের বিভিন্ন রিপোর্টেও আসছে যে বাংলাদেশের অর্থনীতির কোনো স্বচ্ছতা নেই,’ বলেন তিনি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, পৌর সভাপতি শরিফুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সোহাগ, ছাত্রদল সভাপতি কায়েসসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।