খেলাধুলাফুটবল

জামাল ভূইয়া মার্টিনেজের সাক্ষাৎ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ফুটবলাররা

দিনটা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য বিশেষ হতে পারত। সোমবার এমিলিয়ানো মার্টিনেজের বাংলাদেশ সফরটা হতে পারত আরো স্মরণীয়, আরো রঙিন। কিন্তু তা আর হলো না। তার এই সফর যেন দেখিয়ে দিলো বাস্তবতা, ক্রীড়াঙ্গনকে উপহার দিলো লজ্জা!

সাড়ে দশ ঘণ্টার বেশি সময় বাংলাদেশে থাকলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার সময় কাঁটালেন বিশেষ ব্যক্তিবর্গের সাথে। তবে যেই ফুটবল তাকে এখানে এনেছেন, সেই ফুটবলই যেন চলে গেলেন আড়ালে। সাধারণ সমর্থকরা তো দূর, জাতীয় দলের ফুটবলাররাও এমিলিয়ানোর দেখা পাননি!

বাফুরের কর্তা ব্যক্তিদের কেউ আমন্ত্রণে ছিলেন না, ছিলেন না দেশের সর্বকালের সেরা ফুটবলার ও বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনও। তবে আক্ষেপটা বাড়িয়ে দেয় জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূইয়ার এমিলিয়ানোর সাক্ষাৎ না পাওয়া। দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরে অপেক্ষা করেও এমিলিয়ানোর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাননি তিনি।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল খেলে বাংলাদেশ দল সোমবার দুপুরে দেশে ফিরে। একই সময়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তাই তার সঙ্গে দেখা করতে বিমানবন্দরেই অপেক্ষায় থাকেন জামাল। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সুযোগ মেলেনি তার, তার ডাকে সাড়া দেয়নি আয়োজকরা।

জাতীয় দলের টিম অ্যাটেন্ডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন তাৎক্ষণিক অনুরোধ করলেও তাতে লাভ হয়নি, মন গলেনি আয়োজকদের। জাতীয় দলের ফুটবলাররা দেখা পাননি এমিলিয়ানোর, বিষন্ন হৃদেই তাদের ফিরতে হয়েছে ঘরে। এমতাবস্থায় ফুঁসে উঠেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। কথা বলতে শুরু করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন ফুটবলাররা নিজেই।

এই প্রসঙ্গে জাতীয় দলের স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেন, ‘জামাল ভূঁইয়া দেশের ফুটবলের পোস্টার বয়। দেশের টানে উড়ে আসছেন সুদূর ডেনমার্ক থেকে। এসব গল্প দেশের প্রতিটি ফুটবলপ্রেমী মানুষের জানা। শুধু জানল না প্রোটোকলে থাকা ব্যক্তিরা। শুধু চিনল না নিরাপত্তার দোহাইতে নিজ দেশের ক্যাপ্টেনকে অবমাননা করা মানুষগুলো।’

জীবন আরো বলেন, ‘আপনার এমি মার্টিনেজকে চিনে স্বার্থকতা কী, যেখানে নিজ দেশের ক্যাপ্টেনকেই সম্মান জানাতে পারলেন না!’

জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার তকলিস আহমেদের ক্ষোভও কম নয়। তার ভাষায়, ‘নিজের দেশের ফুটবল অধিনায়ককে সম্মান দিতে পারেন না! আসুন আগে নিজের দেশের ক্যাপ্টেনকে সম্মান করি।’

আর জাতীয় দলের গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেলও ক্ষুব্ধ। তিনি তুলে ধরেন প্রচলিত কথা, ‘যেই দেশে গুণীজনদের সম্মান করা হয় না, সেই দেশে গুণীজন জন্মায় না!’

বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো বলেন, ‘দেখা হলে কিছু টিপস নিতাম। বাংলাদেশে এলো দেখা হলো না। আর কখনো দেখা হবে কী না তাও জানি না। ফেডারেশনের মাধ্যমে আসলে বা ফেডারেশনে যোগাযোগ করলে হয়ত আমরা ফুটবলাররা সুযোগ পেতাম দেখা করার।

সংশ্লিষ্ট খবরগুলো

Back to top button