ক্রিকেটফুটবল

লেবাননের কাছে জোড়া গোলে হেরে সাফ শুরু বাংলাদেশের

জয়ের স্বপ্ন তো আগেই ছিলো না, তবে পয়েন্টের ভাগও নিতে পারলো না বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে আটকে দিলেও দ্বিতীয়ার্ধে আর বেঁধে রাখা গেলো না লেবাননকে। হার দিয়েই সাফ মিশন শুরু করলো টাইগাররা। হেরেছে ২-০ গোলে।অবশ্য নিজেদের উদ্দেশ্য পূরণে শুরুর দিকে বেশ সাবধানীই ছিল বাংলাদেশ। বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার প্রায় ৮০ মিনিট পর্যন্ত আটকে রেখেছিল লেবাননকে। তবে এর পর আচমকাই খেই হারাল ডিফেন্ডাররা, আর তাতেই ফসকে গেলো ম্যাচ।

বৃহস্পতিবারের মুখোমুখিতে লেবানন শক্তিতে ঢের এগিয়ে ছিল, যার প্রমাণ আছে র‍্যাঙ্কিংয়ে। বাংলাদেশ থেকে ৯৬ ধাপ এগিয়ে। তবুও পয়েন্ট ভাগের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। ভাগ্য সহায় হলে ড্র না, জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতো বাংলাদেশ। ভিন্ন হতো ম্যাচের ফল। তবে শেষ পর্যন্ত সুযোগ মিসের মাশুল দিতে হলো দলকে।

অবশ্য শুরুর দিকে বেশ কিছু আক্রমণ সাজিয়েছিল হাভিয়ের কাভরারোর শিষ্যরা। ১১ মিনিটে বাঁ প্রান্তে ফ্রিক পায় বাংলাদেশ। কিন্তু জামাল ভুইঁয়ার কিক কেউ ব্যবহার করতে পারেনি। ২১তম মিনিটে ফয়সাল আহমেদ দারুণ একটা ক্রস করেছিলেন। কিন্তু লাফিয়ে বলে হাত ছুঁইয়ে লেবাননের গোলকিপার সেটা বিপদমুক্ত করেন।

মাঝে ১৬ মিনিটে বক্সের ঠিক মাথা থেকে দারুইশের শট একটুর জন্য চলে যায় গোল-পোস্ট ঘেঁষে। আর ৩৫ মিনিটে জিকোর সেভে বিপদমুক্ত রাখে বাংলাদেশকে। তবে ৪৩ মিনিটে ভালো একটা সুযোগ পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ফয়সাল আহমেদ এক ডিফেন্ডারকে কাঁটিয়ে ডি বক্সে বল শট নেন। তবে শেষ মুহূর্তে লেবানন গোলরক্ষক সেই বল আটকে দেন।।

গোলশূন্য সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তিন পরিবর্তন এনে আক্রমণের ধার বাড়ায় লেবানন। ৪৮তম মিনিটে ফের ত্রাতা আনিসুর রহমান জিকো। জেইন ফারানের বাঁ প্রান্ত থেকে নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন গোলরক্ষক তিনি। ৬০তম মিনিটে অবশ্য একটা সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ, তবে এবারো তা কাজে লাগাতে পারেননি ফয়সাল।

অবশেষে লেবানন জিকোকে পরাজিত করে ৭৯তম মিনিটে। নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন হাসান মাতৌক। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভুল করে বসেন তপু, যা তারিকের পায়ে লেগে চলে যায় লেবাননের এক ফুটবলারের কাছে। যার থেকে বল পেয়ে গোল করেন হাসান।

আর ব্যবধানে দ্বিগুণ করেন খলিল বাদের। ৮৯তম মিনিটে বাদেরের একটি হেড জিকো আটকে দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে করিম দারবিশের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন খলিল। তাতে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা বলতে গেলে শেষ হয়ে যায়

সংশ্লিষ্ট খবরগুলো

Back to top button